ইসলামী ছাত্রশিবিরের মহিলা শাখার সভাপতি হিসেবে নিজের নাম ফেসবুকে প্রকাশ করলেন আলোচিত শিক্ষার্থী তাবাসসুম মীম” শীর্ষক তথ্যে বা শিরোনামে জাতীয় দৈনিক প্রথম আলোর ডিজাইন সম্বলিত একটি ফটোকার্ড সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
উক্ত দাবিতে প্রচারিত কিছু ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে জানা যায়, “ইসলামী ছাত্রশিবিরের মহিলা শাখার সভাপতি হিসেবে নিজের নাম ফেসবুকে প্রকাশ করলেন আলোচিত শিক্ষার্থী তাবাসসুম মীম” শীর্ষক তথ্যে বা শিরোনামে দৈনিক প্রথম আলো কোনো ফটোকার্ড প্রকাশ করেনি। মূলত কনটেন্ট ক্রিয়েটর ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এথিনা তাবাসসুম মীমের ফেসবুকে একটি ট্রল পোস্টকে কেন্দ্র করে ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনা করে দৈনিক প্রথম আলোর ডিজাইন সম্বলিত আলোচিত ভুয়া ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে।
আলোচিত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে ফটোকার্ডটি প্রকাশের তারিখ গত ৫ অক্টোবর উল্লেখ পাওয়া যায়। তবে ৫ অক্টোবর তারিখে প্রথম আলোর ফেসবুক পেজে এ সংক্রান্ত কোনো ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি। প্রথম আলোর ওয়েবসাইট ও ইউটিউব চ্যানেলেও এমন কোনো সংবাদ পাওয়া যায়নি।
এছাড়া, আলোচিত ফটোকার্ডটির শিরোনামে ব্যবহৃত ফন্টের সাথে প্রথম আলো কর্তৃক প্রকাশিত ফটোকার্ডের ফন্টের পার্থক্যও রয়েছে। পাশাপাশি, আলোচিত দাবি সমর্থিত কোনো তথ্য অন্য কোনো গণমাধ্যমেও পাওয়া যায়নি।
আলোচিত ফটোকার্ডে থাকা কনটেন্ট ক্রিয়েটর Athina Tabassum Mim এর ফেসবুক পোস্টের স্ক্রিনশটের বিষয়ে অনুসন্ধান করে তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে উক্ত পোস্ট (আর্কাইভ) দেওয়ার সত্যতা পাওয়া যায়। তবে উক্ত পোস্টের মন্তব্য ঘরে তিনি জানান, এই পোস্টটি তিনি মজা করে দিয়েছেন।
সুতরাং, “ইসলামী ছাত্রশিবিরের মহিলা শাখার সভাপতি হিসেবে নিজের নাম ফেসবুকে প্রকাশ করলেন আলোচিত শিক্ষার্থী তাবাসসুম মীম” শীর্ষক তথ্যে বা শিরোনামে প্রথম আলোর নামে প্রচারিত ফটোকার্ডটি ভুয়া ও বানোয়াট।