schema:text
| - Newchecker.in is an independent fact-checking initiative of NC Media Networks Pvt. Ltd. We welcome our readers to send us claims to fact check. If you believe a story or statement deserves a fact check, or an error has been made with a published fact check
Contact Us: checkthis@newschecker.in
Fact checks doneFOLLOW US
Fact Check
Claims: সন্দেশখালির অত্যাচারিত মহিলাদের সত্যিটা বলতে দেওয়া হচ্ছে না। মুসলমানরা হিন্দু মহিলাদের মারধর করছে।
Fact: ভাইরাল ভিডিয়োটির সঙ্গে সন্দেশখালির কোনও যোগ নেই। ভিডিয়োটি ২০১৮ সালে বারাসতে বিজেপি নেত্রী নীলমা দে সরকারের উপর হামলার।
সন্দেশখালি কাণ্ড নিয়ে উত্তপ্ত রাজ্য তথা জাতীয় রাজনীতি। সেখানকার তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান, শিবু হাজরা, উত্তম সর্দারদের বিরুদ্ধে জমি দখল, নারী নির্যাতন, গণধর্ষণ ও আর্থিক প্রতারণার মতো একাধিক অভিযোগ করছেন বাসিন্দারা। পুলিশের বিরুদ্ধেও বহু অভিয়োগ রয়েছে। শিবু ও উত্তম গ্রেফতার হয়েছে। কিন্তু, পঞ্চাশ দিন পরেও এখনও অধরা ইডির উপরে হামলায় মূল অভিযুক্ত শেখ শাহজাহান।
এই পরিস্থিতিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়েছে একটি ভিডিয়ো। যেখানে দেখা যাচ্ছে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময়, এক মহিলার উপর অতর্কিতে হামলা করছেন এক ব্যক্তি। ভিডিয়োটি ফেসবুকে পোস্ট করে সেটাকে সন্দেশখালির বলে দাবি করা হয়েছে। একজন লিখেছেন, “সন্দেশখালির অত্যাচারিত মহিলাদের সত্যিটা বলতে দেওয়া হচ্ছে না। মুসলমানরা হিন্দু মহিলাদের মারধর করছে, দেখুন”।
একই ধরনের আরও পোস্ট দেখা যাবে এখানে, এখানে।
Fact Check/Verification
ভাইরাল ভিডিয়োর একটি কিফ্রেমের রিভার্স ইমেজ সার্চ করলে আমরা দেখতে পাই, ২০১৮ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর একই ভিডিয়ো পোস্ট করেছিলেন বিজেপি নেত্রী কেয়া ঘোষ। পোস্টে লেখা ছিল, “ইনি হলেন সেই মহিলা নিলিমা দে সরকার, যাকে তৃণমূল নেতা আরশাদুজ্জামান লাথি মারে। সাংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময়, তার অনুগামী কুতুবুদ্দিন মহিলার উপর হামলা করে।”
পোস্টটি নিজের এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করেছিলেন জি নিউজের তৎকালীন সঞ্চালক সুধীর চৌধুরী। তিনি লিখেছিলেন, “এটা গণতন্ত্র? ‘গণতন্ত্র বিপদগ্রস্থ’ বলে যে গোষ্ঠী চিৎকার করে তারা আজ কোথায়? মতপ্রকাশের স্বাধীনতা কি শুধু কয়েকজনেরই রয়েছে? যখন জি নিউজ মহিলার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছিল, তখন এই ঘটনা ঘটে।”
এই সূত্র ধরেই ইন্টারনেটে ‘নিলিমা দে সরকার’, ‘বিজেপি, তৃণমূল’ কিওয়ার্ড লিখে সার্চ করি। ২০১৮ সালের পয়লা অক্টোবর জি ২৪ ঘণ্টায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন আমাদের নজরে পড়ে। ওই প্রতিবেদন থেকেই জানা যায় যে, মহিলা বিজেপি নেত্রী নীলিমা দে সরকার, যিনি বারাসতের বাসিন্দা। বিজেপির ডাকা ১২ ঘণ্টা বনধে বারাসতের পীরগাছা রেলগেট অবরোধে সামিল হয়েছিলেন তিনি। সেই সময় অবরোধ তুলতে রেলগেটে যান তৃণমূল কর্মীরাও। বিজেপি কর্মীদের হটিয়ে দেওয়া হয়। আশারাদুজ্জামান নামে স্থানীয় তৃণমূল নেতাকে দেখা যায় পুলিশের সামনেই নীলিমা দে সরকারকে লাথি মারতে। এরপর সেই ঘটনার বিবরণ এক সাংবাদিককে দিচ্ছিলেন নীলিমা দে সরকার। অভিযোগ সেই সময় ফের আশারাদুজ্জামানের অনুগামী তাঁর ওপর হামলা চালায়।
One India, Hindustan Times, The Indian Express, NDTV –র মতো একাধিক সংবাদমাধ্যম খবরটি একই তথ্য সহযোগে প্রকাশ করেছিল।
CNN News18-এর এক্স হ্যান্ডেলেও একই ভিডিয়ো, একই তথ্যসহ দেখতে পাওয়া যায়।
সুতরাং এখন এটা স্পষ্ট করে বলা যায় যে, ভাইরাল ভিডিয়োটির সঙ্গে সন্দেশখালির কোনও যোগ নেই। ভিডিয়োটি ২০১৮ সালে বারাসতে বিজেপি নেত্রী নীলমা দে সরকারের উপর হামলার।
Result: False
Sources:
X post by Keya Ghosh
X post by Sudhir Chowdhury
News Published on One India, Hindustan Times, The Indian Express, NDTV
Tanujit Das
January 30, 2025
Tanujit Das
January 21, 2025
Tanujit Das
January 6, 2025
|