schema:text
| - সম্প্রতি, ইন্টারনেটের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে একটি ভিডিও প্রচার করে দাবি করা হচ্ছে, এটি ভারতের একটি মসজিদে হিন্দুদের দ্বারা আগুন দেওয়ার ঘটনায় ধারণকৃত ভিডিও।
ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।
এক্সে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এবং এখানে (আর্কাইভ)।
টিকটকে প্রচারিত এমন কিছু ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, মসজিদে অগ্নিকাণ্ডের এই ভিডিওটি ভারতের নয়, বরং ইন্দোনেশিয়ার। গত ০৮ ডিসেম্বর ইন্দোনেশিয়ার সুলাওয়েসি তেঙ্গাহ প্রদেশের লুওক শহরের পাসার সেন্ট্রাল বাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পাশের আল ইখসান মসজিদেও আগুন লাগে। এই ঘটনার একটি ভিডিও বিভ্রান্তিকরভাবে ভারতে হিন্দুরা মসজিদে আগুন দিয়েছে বলে প্রচার করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ভিডিওটি থেকে কিছু স্থিরচিত্র নিয়ে রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে ইন্দোনেশিয়ার টোলিটোলি নিউজ নামের একটি অনলাইন পোর্টালের ফেসবুক পেজে গত ০৮ ডিসেম্বর প্রকাশিত একাধিক ছবি সম্বলিত একটি পোস্ট (আর্কাইভ) খুঁজে পাওয়া যায়।
উক্ত পোস্টে যুক্ত একটি ছবির সাথে আলোচিত ভিডিওটির একটি দৃশ্যের হুবহু মিল পাওয়া যায়। উক্ত পোস্ট ও আলোচিত ভিডিওতে থাকা মসজিদটি একই বলে প্রতীয়মান হয়।
উক্ত পোস্টে উল্লেখিত তথ্য থেকে জানা যায়, গত ০৮ ডিসেম্বর বাংগায়ের লুওক সেন্ট্রাল বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
এছাড়াও, ইন্দোনেশিয়ায় বসবাসকারী Abd Karim Ahmad নামের এক ব্যক্তির ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে গত ০৮ ডিসেম্বর প্রকাশিত একটি পোস্ট (আর্কাইভ) থেকেও এ অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে একই তথ্য জানা যায়।
উক্ত পোস্ট থেকে আরও জানা যায়, আলোচিত এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পাশ্ববর্তী আল ইখসান মসজিদও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
পরবর্তীতে ইন্দোনেশিয়ার গণমাধ্যম ত্রিবুন গোরোন্তালো’র ওয়েবসাইটে গত ০৯ ডিসেম্বর এ বিষয়ে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন (আর্কাইভ) থেকেও একই তথ্য জানা যায়। পাশাপাশি জানা যায়, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকেই এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে।।
পাশাপাশি, গুগল ম্যাপে উক্ত মসজিদের লোকেশন অনুসন্ধান করে প্রাপ্ত ছবির সাথে আলোচিত ভিডিওটির মসজিদের দৃশ্যের হুবহু মিল পাওয়া যায়।
অর্থাৎ, মসজিদে অগ্নিকাণ্ডের এই ঘটনাটি ভারতের নয়।
সুতরাং, ইন্দোনেশিয়ার একটি মসজিদে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ধারণকৃত ভিডিওকে ভারতের মসজিদে অগ্নিকাণ্ডের ভিডিও দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচার করা হচ্ছে; যা বিভ্রান্তিকর।
তথ্যসূত্র
- Tolitoli News Facebook: Post
- Abd Karim Ahmad Facebook: Post
- Tribun Gorontalo: https://gorontalo.tribunnews.com/2024/12/09/3-fakta-kebakaran-pasar-sentral-luwuk-banggai-128-bangunan-ludes-termasuk-masjid
- Google Map: Location
- Rumor Scanner’s Own Analysis
|