schema:text
| - সম্প্রতি ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে যে, বাংলাদেশের জনসংখ্যা ৪০ কোটি ছাড়িয়েছে।
উক্ত দাবিতে ফেসবুকের কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।
একই দাবিতে ইউটিউবের ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।
একই দাবিতে টিকটকের ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, বাংলাদেশের জনসংখ্যা ৪০ কোটি ছাড়িয়েছে শীর্ষক দাবিটি সঠিক নয়, বরং ভুঁইফোঁড় একটি সংস্থার মনগড়া তথ্য ও অনুমানের উপর ভিত্তি করে জনসংখ্যার কথিত এই সংখ্যাটি ত্রুটিপূর্ণভাবে তা প্রেস রিলিজ আকারে প্রচার করা হয়েছে।
কথিত তথ্যের উৎস কী?
আলোচিত দাবিটির বিষয়ে অনুসন্ধানে দেশের একাধিক গণমাধ্যমে (দৈনিক ইনকিলাব, প্রথম আলো নিউইয়র্ক, দ্য ডেইলি ক্যাম্পাস, জুম বাংলা, এমটিনিউজ২৪, কালের আলো, প্রবাস কণ্ঠ, ডেইলি কুমিল্লা নিউজ, হবিগঞ্জ২৪ ডটকম, টেকজুম ডটটিভি) এ সংক্রান্ত সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়৷ গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশের বর্তমান জনসংখ্যা ৪০ কোটি ছাড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন, বিশ্ব জরিপ সংস্থার মুখপাত্র সাইয়্যিদ মুহম্মদ আকতার ই-কামাল। তিনি বলেন, বিগত ২৭ বছরে জনসংখ্যার একই হিসাব দেয়া হচ্ছে। জনসংখ্যা ইচ্ছেকৃতভাবে লুকানো হচ্ছে এবং এর পেছনে কাজ করছে সরকারসহ বিভিন্ন এনজিও।
পরবর্তীতে উক্ত দাবি ইন্টারনেটের বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
বিশ্ব জরিপ সংস্থার অস্তিত্বের খোঁজে
রিউমর স্ক্যানারের প্রাথমিক অনুসন্ধানে বিশ্ব জরিপ সংস্থার অনলাইন বা অফলাইনে উপস্থিতির কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। নেই কোনো ওয়েবসাইটও। এমনকি গণমাধ্যমেও এই সংস্থার পূর্ববর্তী কোনো কার্যক্রমের খবর মেলেনি। কথিত এই সংস্থার মুখপাত্র হিসেবে সাইয়্যিদ মুহম্মদ আকতার ই-কামাল নামে যে ব্যক্তির নাম প্রচার হচ্ছে তারও কোনো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বা বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে কতিপয় গণমাধ্যমে সংস্থাটির একটি লোগো প্রচার করা হয়েছে। এতে অবশ্য নাম ভিন্ন, লেখা রয়েছে ‘বিশ্ব জরিপ ফাউন্ডেশন’। এই তথ্যের সূত্রে এই নামে একটি ফেসবুক পেজ খুঁজে পাওয়া যায়৷ পেজটি লক্ষ্য করলে দেখা যায়, পেজটিতে মাত্র ৩৯২ জন ফলোয়ার রয়েছেন।
পেজটিতে গত ১৮ অক্টোবর বাংলাদেশের জনসংখ্যা ৪০ কোটি ছাড়িয়েছে দাবিতে দুইটি পোস্ট করতে দেখা যায়। তার আগে প্রায় ৬ বছর পূর্বে সর্বশেষ পোস্টটি করা হয় যেখানে হাওরে বাঁধ নির্মাণে গাফিলতি শিরোনামে প্রথম আলোর একটি প্রতিবেদন শেয়ার করা হয়।
কথিত এই প্রতিষ্ঠানটির বিষয়ে জানতে রিউমর স্ক্যানার কথা বলেছে মুখপাত্র পরিচয় দেওয়া জনাব সাইয়্যিদ মুহম্মদ আকতার ই-কামালের সাথে। তিনি নিশ্চিত করেন, উক্ত পেজটিই বিশ্ব জরিপ সংস্থা নামক কথিত প্রতিষ্ঠানটির ফেসবুক পেজ। তাদের কোনো ওয়েবসাইট আছে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলছিলেন, তাদের অফিসে অনেক ওয়েবসাইট আছে৷ তাদের অফিস কোথায় বা তাদের কার্যক্রমের বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাতে চাননি তিনি।
বাংলাদেশের জনসংখ্যা কি ৪০ কোটি?
রিউমর স্ক্যানার কথিত বিশ্ব জরিপ সংস্থার সংবাদ বিবৃতিটির কপি হাতে পেয়েছে। বিবৃতি থেকে জানা যাচ্ছে, প্রতিষ্ঠানটি মূলত তিনটি বিষয়ের উপর ভিত্তি করে বাংলাদেশের জনসংখ্যা ৪০ কোটি ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছে। প্রথমত, বিশ্ব জরিপ সংস্থা দাবি করেছে, জনসংখ্যা নিয়ে সর্বশেষ ১৯৯৬ সালে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসলে জানানো হয়, বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৭ কোটি এবং এরপর আর বাড়ানো হয়নি। দ্বিতীয়ত, বিশ্ব জরিপ সংস্থার মতে, পূর্বের চেয়ে বর্তমানে মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে, তাই জনসংখ্যা বাড়ার কথা। তৃতীয়ত, ১৯৬৯ সাল থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত তৎকালীন ২৭ বছরে সোয়া তিন গুণেরও বেশি (৩.২৬ গুণ) হারে জনসংখ্যা বেড়েছে, এরই প্রেক্ষিতে পরবর্তী ২৮ বছর তথা ১৯৯৬ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার আড়াইগুণের চেয়ে কম ধরলেও বর্তমান জনসংখ্যা ৪০ কোটির অধিক হবে।
সাইয়্যিদ মুহম্মদ আকতার ই-কামালের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কথিত তথ্যগুলো সরকারি ঘোষণা থেকে নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন।
১৯৯৬ সাল পূর্ব সময়ের জনসংখ্যার বিষয়ে অনুসন্ধান করলে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো এর ২০২২ সালে প্রকাশিত জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ এর ন্যাশনাল রিপোর্ট (ভলিউম-১) থেকে জানা যায়, স্বাধীনতার পর ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত তিনটি আদমশুমারী বা জনসংখ্যা গণনা করা হয়। ১৯৭৪ সালের প্রথম জনশুমারিতে গণনাকৃত জনসংখ্যা ছিল ৭ কোটি ১৪ লক্ষ, ১৯৮১ সালে হওয়া দ্বিতীয় জনশুমারিতে গণনাকৃত জনসংখ্যা ছিল ৮ কোটি ৭১ লক্ষ এবং ১৯৯১ সালে হওয়া তৃতীয় আদমশুমারীতে গণনাকৃত জনসংখ্যা ছিল ১০ কোটি ৬৩ লক্ষ। ১৯৯৬ সালে কোনো আদমশুমারি হয়নি।
উল্লেখ্য, গণনাকৃত সংখ্যা হচ্ছে আদমশুমারী কার্যক্রম চলাকালীন গণনা করে পাওয়া সংখ্যা। তবে, প্রতি আদমশুমারিতে ভুল-ত্রুটি এড়াতে তার চেয়ে কিছুটা বড় একটি সংখ্যাকে সমন্বয়কৃত জনসংখ্যা বলেও প্রকাশ করা হয়। যেমন: ১৯৭৪ সালে গণনাকৃত সংখ্যা ৭ কোটি ১৪ লক্ষ হলেও সমন্বয়কৃত সংখ্যা হিসেবে ৭ কোটি ৬৩ লক্ষ প্রকাশ করা হয়। ১৯৮১ সালে এটি ছিল ৮ কোটি ৯৯ লক্ষ এবং ১৯৯১ সালে ১৩ কোটি ০৫ লক্ষ।
অর্থাৎ, দাবিকৃত জনসংখ্যা ১৯৭৭ সালে ৯ কোটি, ১৯৮২ সালে ১১ কোটি, ১৯৯১ সালে ১৬ কোটি, ১৯৯৬ সালে ১৭ কোটি এর সাথে আদমশুমারির তথ্যের মিল পাওয়া যায় না। তাছাড়া, কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রেও ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৭ কোটি ছিল এমন দাবির পক্ষে কোনো তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি।
বিশ্ব জরিপ সংস্থা এছাড়াও দাবি করে, পূর্বের চেয়ে গড় আয়ু বাড়ার কারণে মোট জনসংখ্যাও বাড়ার কথা। জনসংখ্যা বাড়ার ক্ষেত্রে দীর্ঘায়ু একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করলেও মোট জনসংখ্যা বাড়া বা কমার ক্ষেত্রে মূলত তিন বা চারটি ক্ষেত্র প্রধান ভূমিকা পালন করে যা হলো জন্মহার, মৃত্যুহার এবং অভিবাসন। এছাড়াও আরো কিছু ক্ষেত্র আছে যেগুলো মূলত এই ক্ষেত্রগুলোকেই প্রভাবিত করে। বিশ্ব জরিপ সংস্থা দীর্ঘায়ুর বিষয়ে উল্লেখ করলেও বাকী কোনো বিষয়ে বা এ বিষয়েও বৃহৎ কোনো ব্যাখ্যা প্রদান করেনি।
তাছাড়া, সর্বশেষ ২০২২ সালে প্রকাশিত বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো কর্তৃক প্রকাশিত ন্যাশনাল রিপোর্ট থেকে জানা যায়, ১৯৮১ সাল থেকেই গণনাকৃত জনসংখ্যা বৃদ্ধির বার্ষিক গড় হার নিম্নমুখী। ১৯৭৪ পরবর্তী সময়ে এ হার সবচেয়ে বেশি ছিল ১৯৮১ সালে ২.৮৮ শতাংশ যা ক্রমান্বয়ে হ্রাস পেয়ে ২০২২ সালে হয় ১.২২ শতাংশ।
একই সূত্র ভিত্তি করে একই দাবিতে বিবিসি বাংলাও ২০২২ সালে প্রতিবেদন প্রকাশ করে যেখানে বলা হয়, গত ত্রিশ বছর যাবত বাংলাদেশে জন্মহার ধারাবাহিকভাবে কমছে।
উল্লেখ্য যে, একই প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, জন্মহারের পাশাপাশি বাংলাদেশে মৃত্যুহারও কমছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউট-এর অধ্যাপক এএসএম আতিকুর রহমান বিবিসি বাংলাকে বলেন, ২০২২ সালের জনশুমারিতে বাংলাদেশের জন্য ইতিবাচক ও নেতিবাচক দুটো দিকই রয়েছে। ২০২২ সালের জনশুমারিতে দেখা যাচ্ছে, ৬৫ বছর থেকে শুরু করে তার ঊর্ধ্বে জনসংখ্যা ৫.৮৮ শতাংশ। এটি যদি সাত শতাংশে পৌঁছে যায় তখন সেটিকে ‘ বয়স্কদের সমাজ’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক মইনুল ইসলাম বিবিসি বাংলাকে বলেন, ২০৫৭ থেকে ২০৬৪ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের জনসংখ্যা স্থিতিশীল থাকবে। কারণ তখন জন্ম ও মৃত্যুহার সমান হবে। এরপরে মোট জনসংখ্যা আস্তে আস্তে কমতে থাকবে।
বাংলাদেশে জনসংখ্যার ক্ষেত্রে অভিবাসনের বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের ওয়েবসাইটে তথ্য পাওয়া যায়। ২০২৩ সালে বাংলাদেশের নেট অভিবাসন হিসেবে জানানো হয় মাইনাস (ঋণাত্মক) ৩ কোটি ৯ লাখ ৯৭৭ জন। নেট মাইগ্রেশন হিসেব করা হয়েছে, বহির্বিশ্ব থেকে বাংলাদেশে আসা জনসংখ্যা থেকে বাংলাদেশ থেকে অন্য দেশে যাওয়া জনসংখ্যা বিয়োগ করে। উল্লেখ্য যে, এক্ষেত্রে নাগরিক এবং নাগরিক নয় এমন দুই বিষয়ই হিসেবে ধরা হয়েছে।
অর্থাৎ, এই হিসেবে বহির্বিশ্ব থেকে বাংলাদেশে আসা মানুষের তুলনায় বাংলাদেশ থেকে বহির্বিশ্বে প্রায় ৩ কোটি বেশি মানুষ গিয়েছেন। তাছাড়া, ২০২১ সালে ঢাকা পোস্টে প্রকাশিত একটি সংবাদ প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, অভিবাসী সংখ্যার দিক থেকে বিশ্বে বাংলাদেশ ষষ্ঠ অবস্থানে আছে। (অভিবাসী সংখ্যা প্রায় ৭৪ লাখ)
সরকারিভাবে বাংলাদেশে মোট জনসংখ্যা ২০২২ সালের আদমশুমারী অনুযায়ী বাংলাদেশের গণনাকৃত মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৫১ লক্ষ এবং সমন্বয়কৃত জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৯৮ লক্ষ।
জাতিসংঘের পপুলেশন ফান্ডের মতে ২০২৪ সালে বাংলাদেশের সর্বমোট জনসংখ্যা ১৭ কোটি ৪৭ লক্ষ। বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৭ কোটি ২৯ লক্ষ। নানারকমের তথ্য ও পরিসংখ্যান সংগ্রহ ও ভিজ্যুয়ালাইজ করা জার্মান প্ল্যাটফর্ম স্ট্যাটিস্টা গ্রাফের মাধ্যমে ২০১৯ থেকে ২০২৯ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের জনসংখ্যার একটি ধারণা দিয়েছে যেখানে ২০২৪ সালের জনসংখ্যা হিসেবে ১৭ কোটি ২০ লক্ষ উল্লেখ করেছে এবং ২০২৯ সালের সম্ভাব্য জনসংখ্যা হিসেবে ১৮ কোটি ০২ লক্ষ উল্লেখ করেছে।
তাছাড়া, বিবিসি বাংলায় ২০২৩ সালে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বাংলাদেশে ২০৭৩ সাল নাগাদ দেশের জনসংখ্যা হবে ২০ কোটি ৩০ লাখ। জাতিসংঘের করা বিশ্ব জনসংখ্যা প্রক্ষাপনের উদ্ধৃতি দিয়ে বাংলাদেশের জনসংখ্যার এমন ধারণা দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
উক্ত একই প্রতিবেদনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্স বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মঈনুল ইসলামকে করা এক প্রশ্নের উত্তরের বরাতে জানানো হয়, বর্তমানে যে হারে জনসংখ্যা বাড়ছে তা আরো ৩৪ বছর অব্যাহত থাকবে। ২০৫৭ সালে জনসংখ্যা হবে ২০ কোটি ৭০ লাখ। এটা হবে বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির পিক বা সর্বোচ্চ সংখ্যা। পরের সাত বছর ধরে জনসংখ্যার এই ধারা স্থিতিশীল থাকবে। এর পরের বছর গিয়ে আবার জনসংখ্যা বৃদ্ধির ধারাটিতে পরিবর্তন আসবে। তখন থেকে জনসংখ্যা কমতে শুরু করবে। ২০৬৯ সাল নাগাদ জনসংখ্যা ২০ কোটি ৫০ লাখ এবং ২০৭১ সালে ২০ কোটি ৪০ লাখ হবে। এভাবে কমতে কমতে ২০৭৩ সাল নাগাদ বাংলাদেশের জনসংখ্যা হবে ২০ কোটি ৩০ লাখ।
অর্থাৎ, বাংলাদেশের জনসংখ্যা ৪০ কোটি দাবি করার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত পুরোনো সংখ্যাগুলো ভুল এবং পদ্ধতিতে সীমাবদ্ধতা রয়েছে। বাংলাদেশের সরকারি তথ্যসহ বিশ্বের নানা প্রতিষ্ঠান ও গবেষকদের তথ্যানুসারে বাংলাদেশের জনসংখ্যা এখনও বিশ কোটিতেও পৌঁছায়নি। বরং, নানা গবেষণা ও সম্ভাবনার তথ্য থেকে জানা যায়, আগামী কয়েক দশক পর জনসংখ্যা ২০ কোটির ঘরে পৌঁছাবে এবং এরপর একটা সময় পর ধীরে ধীরে জনসংখ্যা কমতে থাকবে।
সুতরাং, বাংলাদেশের জনসংখ্যা ৪০ কোটি ছাড়িয়েছে শীর্ষক দাবিটি বিভ্রান্তিকর।
তথ্যসূত্র
- Bangladesh Bureau of Statistics – Population and Housing Census 2022 National Report (Volume -1)
- BBC Bangla – আদমশুমারি: বাংলাদেশে জন্মহার কমা ভালো নাকি খারাপ?
- World Bank Data – Bangladesh
- Dhaka Post – অভিবাসীর সংখ্যায় বিশ্বে বাংলাদেশ ষষ্ঠ
- United Nations Populations Fund – World Population Dashboard Bangladesh
- World Bank Data – World Population Dashboard Bangladesh
- Statista – Bangladesh: Total population from 2019 to 2029
- BBC Bangla – আগামী ৫০ বছরে বাংলাদেশের জনসংখ্যা কেমন হতে পারে?
- Rumor Scanner’s own analysis
|