About: http://data.cimple.eu/claim-review/60b973b9bdfb261a631913908349cd45b0ea026bef809442c9d5f629     Goto   Sponge   NotDistinct   Permalink

An Entity of Type : schema:ClaimReview, within Data Space : data.cimple.eu associated with source document(s)

AttributesValues
rdf:type
http://data.cimple...lizedReviewRating
schema:url
schema:text
  • পালঘর গণপিটুনির মূলচক্রী বলে মৃত তাবরেজ আনসারির ছবি শেয়ার করা হচ্ছে গত বছর ঝাড়খণ্ডে নৃশংসভাবে গণ পিটুনিতে মারা যাওয়া তাবরেজ আনসারির একটি ছবি জিইয়ে তুলে পালঘরের দুুই সাধুকে হত্যার মূলচক্রী বলা হচ্ছে। মহারাষ্ট্রের পালঘরে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া গণপিটুনিতে তিন জনের হত্যার ঘটনার মূলচক্রীকে ধরা হয়েছে বলে, ছবি সহ একটি পোস্ট সোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করা হচ্ছে। বুম দেখেছে যাকে ওই ঘটনার অপরাধী হিসেবে দেখানো হচ্ছে তিনি নিজেই ঝাড়খন্ডের সরাইকেলা-খরসাওয়ানে ২০১৯ সালে গনপিটুনিতে নিহত হয়েছিলেন। ১৬ এপ্রিল রাতে গুজবের বশবর্তী হয়ে মহারাষ্ট্রের পালঘরে একদল উন্মত্ত আদিবাসি জনতা ছেলেধরা সন্দেহে দুজন গেরুয়া বসনধারী সন্ন্যাসী, কল্পবৃক্ষ গিরি(৭০) ও সুশীলগিরি মহারাজ(৩০) এবং তাদের গাড়ীর চালক নীলেশ তেনগানে(৩৫)-কে পিটিয়ে হত্যা করে। এই সাধুরা গুরু রাম গিরি'র অন্তিম সংস্কার যাত্রায় যোগ দেওয়ার জন্য মহারাষ্ট্রের নাসিক থেকে গুজরাট সীমান্ত লাগোয়া কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল দমন-দিউের শিলভাসাতে যাচ্ছিলেন। এই ঘটনার ব্যাপারে বিশদে পড়া যাবে এখানে। ভাইরাল হওয়া ফেসবুক পোস্টের ছবিতে একজন আহত লোককে মাথায় এবং বাম হাতের বাহুতে ব্যান্ডেজ লাগানো অবস্থায় দেখা যাচ্ছে। আহত ব্যাক্তিকে ঘিরে আরও তিন জনকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়, তাদের মধ্যে দুই জনের গায়ে পুলিশের পোষাক লাগানো আছে। আহত ব্যাক্তির ডান হাতের কব্জিতে হাতকড়া লাগানো এবং কোমরে দড়ি বাঁধা। ভাইরাল ফেসবুক পোস্টের ছবিতে বাংলায় লেখা আছে, "মহারাষ্ট্রের পালঘরে দুই সন্যাসী কৃষ্ণবক্ষ মহারাজ ও সুনীল গীরিকে হত্যা করার মাস্টার মাইন্ড গ্রেফতার। বুদ্ধিজীবিরা প্রথমে আপনার নাম, পরিচয়, ধর্ম, দেখবে তার পরে প্রতিবাদে সামিল হবেন। নৃশংস কাজের জন্য চরম শাস্তির দাবি করছি।'' অশালীন ভাষার প্রয়োগ থাকায় বুম ক্যাপশনকে প্রতিবেদনে সংযোজন করেনি। পোস্টটি দেখা যাবে এখানে, আর্কাইভ করা আছে এখানে। পালঘরের এই ঘটনা সামনে আসার পর থেকে তীব্র রাজনৈতিক চাপানোতর শুরু হয়েছে এবং সোশাল মিডিয়াতে এই ঘটনাকে নিয়ে ইতিমধ্যেই সাম্প্রদায়িক রঙ লাগনো হচ্ছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ভব ঠাকরেকে উক্ত ঘটনাকে যেন সাম্প্রদায়িক মোড় না দেওয়া হয় তার জন্য বিরোধীদের কাছে আবেদন করেন। তথ্য যাচাই বুম ভাইরাল হওয়া ছবির রিভার্স ইমেজ সার্চ করে ছবিটির প্রকৃত সত্যতা জানতে পারে। বুম জানতে পারে ছবিটি তাবরেজ আনসারি নামের ২৪ বছরের এক যুবকের। ঝাড়খন্ডের সেরাইকেলা-খরসাওয়ান জেলায় তাবরেজ আনসারি ২০১৯ এর ১৭ জুন গণপিটুনিতে গুরুতর জখম হন। পরে ২২ জুন মারা যায় সে। বুম খুঁজে পায় ভাইরাল হওয়া এই ছবিটি ইন্ডিয়া টুডে ও দি টেলিগ্র্যাফ এও ২০১৯ সালে প্রতিবেদন করা হয়েছিল। পালঘরের ঘটনায় অভিযুক্তদের ব্যাপারে পালঘর পুলিশ আগেই জানায়, পালঘরে গণপিটুনির সাথে যুক্ত থাকার দায়ে এখন পর্যন্ত স্থানীয় আদিবাসি সম্প্রদায়ের ৯ জন নাবালক সহ মোট ১১০ জনকে আটক করা হয়েছে। এই টুইটে আরও বলা হয়েছে যে, এই ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব সিআইডি কোনকনকে দেওয়া হয়েছে কেননা স্থানীয় পুলিশের দুইজন আধিকারিককেও এই ঘটনায় বরখাস্ত করা হয়েছে। মহারাষ্ট্রের স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ বুধবার নিজের টুইট করে পালঘর গণপিটুনি এবং হত্যাকাণ্ডের ঘটনার সাথে যুক্ত সন্দেহে আটক হওয়া ১১০ জনের নামের তালিকাও প্রকাশ করেন। पालघर येथील घटनेत अटक झालेल्या १०१ जणांची यादी इथे सार्वजनिक करण्यात येत आहे. जी विघ्नसंतोषी मंडळी या घटनेला धार्मिक रंग देण्याचा सातत्याने प्रयत्न करत होती, त्यांनी नक्की पहावी...#ZeroToleranceForCommunalism#LawAndOrderAboveAll pic.twitter.com/pjouXo9NhQ— ANIL DESHMUKH (@AnilDeshmukhNCP) April 22, 2020 তাবরেজের গণপিটুনি তাবরেজ আনসারি পুনেতে একজন ওয়েল্ডার হিসেবে কাজ করতেন। তিনি ঈদ উপলক্ষে ঝাড়খন্ডে নিজের বাড়িতে যাচ্ছিলেন। ১৭ জুন ২০১৯ সালে বাড়িতে ফেরার পথে ধাতকিডিহ গ্রামের স্থানীয় লোকজন তাবরেজকে মোটর সাইকেল চুরির সন্দেহে আটক করে। তাবরেজকে খুটির সাথে বেঁধে একদল উন্মত্ত জনতা রড ও লাঠি দিয়ে মেরে ঘুরুতর জখম করে। তাবরেজকে ধর্মীয় শ্লোগান দিতেও বাধ্য করা হয় এবং সেই পাশবিক নির্যাতনের পুরো ঘটনা মোবাইলে ভিডিও রেকর্ড করা হয়। সেই ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হলে শিহরিত হয় সকলে। এই ঘটনায় দেশব্যাপী প্রতিক্রিয়া শুরু হয়, প্রতিবাদ এবং নিন্দার ঝড় উঠে। কিন্তু পরের দিন অর্থাৎ, ১৮ জুন ২০১৯ তারিখে স্থানীয় পুলিশ ধাতকিডিহ ঘটনাস্থলে যায় এবং প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাবরেজ আনসারিকেই গ্রেপ্তার করে পুলিশ কাস্টডিতে পাঠায়। ২২ জুন টাটা মেইন হাসপাতালে হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে তাবরেজের মৃত্যু হয়। গ্রেফতারির দিনই তাবরেজকে স্থানীয় সরকারি হাঁসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে টাটা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। তাবরেজের পরিবারের বয়ান অনুযায়ী তার মাথায় গভীর ক্ষত ছিল এবং শরীরের অন্যান্য অংশেও আঘাতের চিহ্ন ছিল। তাবরেজ আনসারি হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে আরও পড়া যাবে এখানে।
schema:mentions
schema:reviewRating
schema:author
schema:datePublished
schema:inLanguage
  • English
schema:itemReviewed
Faceted Search & Find service v1.16.115 as of Oct 09 2023


Alternative Linked Data Documents: ODE     Content Formats:   [cxml] [csv]     RDF   [text] [turtle] [ld+json] [rdf+json] [rdf+xml]     ODATA   [atom+xml] [odata+json]     Microdata   [microdata+json] [html]    About   
This material is Open Knowledge   W3C Semantic Web Technology [RDF Data] Valid XHTML + RDFa
OpenLink Virtuoso version 07.20.3238 as of Jul 16 2024, on Linux (x86_64-pc-linux-musl), Single-Server Edition (126 GB total memory, 2 GB memory in use)
Data on this page belongs to its respective rights holders.
Virtuoso Faceted Browser Copyright © 2009-2025 OpenLink Software