About: http://data.cimple.eu/claim-review/20838cc69695f89f3a0b75d8063f8866ec009fb25ae3253390ac5104     Goto   Sponge   NotDistinct   Permalink

An Entity of Type : schema:ClaimReview, within Data Space : data.cimple.eu associated with source document(s)

AttributesValues
rdf:type
http://data.cimple...lizedReviewRating
schema:url
schema:text
  • সম্প্রতি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন মেনে নিয়েছেন এবং ২০২৪ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে। ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)। ফ্যাক্টচেক রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন মেনে নিয়েছেন দাবিতে প্রচারিত তথ্যটি সঠিক নয় বরং ভিন্ন ভিন্ন ঘটনার কয়েকটি ছবি ও ভিডিও ক্লিপ সংযুক্ত করে ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় আলোচিত ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে। অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। এতে দেখা যায়, এটি ভিন্ন ভিন্ন ঘটনার কয়েকটি ছবি ও ভিডিও ক্লিপ নিয়ে তৈরি একটি ভিডিও। সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সেনাবাহিনীর সদস্যের পুরোনো কিছু ছবি ও ভিডিও’র অংশ দেখা যায়। ‘ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা BNP’ নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে গত ০৪ অক্টোবর ১ মিনিট ০৮ সেকেন্ডের এই ভিডিওটি প্রকাশ করা হয়। ভিডিওটিতে বলা হয়, “এবার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অনুমোদন দিলো শেখ হাসিনা। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই নেওয়া হচ্ছে। এদিকে আগামী তিনমাসের মধ্যেই ক্ষমতা হস্তান্তর করবে আওয়ামী লীগ সরকার। ক্ষমতা হস্তান্তরের মধ্য দিয়েই নির্বাচনের পক্রিয়া শুরু করবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার। এই তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে সহযোগিতা করবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। ওদিকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সকল রাজনৈতিক দলকে একসাথে কাজ করার আহ্বান জানানো হচ্ছে, যাতে করে জনগণ তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে পারে। এই নির্বাচনে সকল সহযোগিতা করবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।” উক্ত বিষয়গুলো নিয়ে প্রাসঙ্গিক একাধিক কি ওয়ার্ড সার্চ করেও উক্ত দাবিগুলোর কোনো সত্যতা খুঁজে পাওয়া যায়নি। রিউমর স্ক্যানার যাচাই করে দেখেছে, ভিন্ন ভিন্ন ঘটনার কয়েকটি আলাদা ছবি এবং ভিডিও যুক্ত করে নির্ভরযোগ্য কোনো তথ্যসূত্র ছাড়াই দাবিগুলো প্রচার করা হয়েছে। অসংগতি-১ ভিডিওটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করেছে রিউমর স্ক্যানার টিম। এতে কোথাও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন মেনে নেওয়ার বিষয়ে কোনো ঘোষণা পাওয়া যায়নি। তাছাড়া ভিডিওটিতে ২০২৪ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হওয়ার বিষয়েও কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্যসূত্র উল্লেখ করা হয়নি। অসংগতি-২ ভিডিওটিতে দাবি করা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অনুমোদন দিয়েছেন এবং আগামী তিন মাসের মধ্যেই ক্ষমতা হস্তান্তর করবে আওয়ামী লীগ সরকার। তবে অনুসন্ধানে গণমাধ্যম কিংবা সংশ্লিষ্ট অন্যকোনো সূত্রে এই দাবির সত্যতা পাওয়া যায়নি। অসংগতি-৩ ভিডিওটিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে নির্বাচনে সেনাবাহিনী সহায়তা করবে বলে দাবি করা হলেও গণমাধ্যম বা সংশ্লিষ্ট অন্যকোনো সূত্রে এসম্পর্কিত কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি। এছাড়াও, আলোচিত ভিডিওটির শুরুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একটি বইয়ে স্বাক্ষর করতে দেখা যাচ্ছে। প্রাসঙ্গিক কি ওয়ার্ড অনুসন্ধানের মাধ্যমে ২০১৯ সালের ০৪ জানুয়ারি মূলধারার গণমাধ্যম ডেইলি স্টারের অনলাইন সংস্করণে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে উক্ত ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়। প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সেসময় জাতীয় সংসদ ভবনে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে সংসদ সদস্যদের বইয়ে স্বাক্ষর করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অর্থাৎ, এই ছবিটি সাম্প্রতিক সময়ের নয়, এটি ২০১৯ সালের ছবি। প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে বাংলাদেশে আপিল বিভাগ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সর্ম্পকিত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করে। পরবর্তীতে এই ব্যবস্থা আর পুর্ণবহাল করা হয়নি। অর্থাৎ, উপরোক্ত বিষয়গুলো পর্যালোচনা করলে এটা স্পষ্ট যে, প্রধানমন্ত্রী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন মেনে নিয়েছেন দাবিতে প্রচারিত তথ্যটি সঠিক নয়। মূলত, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন করার দাবিতে বিগত বেশ কয়েকবছর ধরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল দাবি জানিয়ে আসছে। এরই প্রেক্ষিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পক্ষে এবং বিপক্ষে ইন্টারনেটে বিভিন্ন তথ্য প্রচার করা হয়। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন মেনে নিয়েছেন এবং ২০২৪ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে। তবে রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, আলোচিত ভিডিওটি ভিন্ন ভিন্ন ঘটনার কয়েকটি ছবি ও ভিডিও সংযুক্ত করে ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় তৈরি করা হয়েছে সেখানে উক্ত তথ্যের কোনো নির্দিষ্ট সূত্র উল্লেখ করা হয়নি। প্রকৃতপক্ষে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন মেনে নেওয়ার বিষয়ে কোনো ঘোষণা দেননি। উল্লেখ্য, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়ে ভুয়া তথ্য প্রচার করা হয়েছে। এসব ঘটনা নিয়ে একাধিক ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার। সুতরাং, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন মেনে নিয়েছেন দাবিতে প্রচারিত তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। তথ্যসূত্র - The Daily Star: New Awami League MPs taken Oath, no BNP MPs-elect attend - BBC: তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল ঘোষণা - Rumor Scanner’s Own Analysis
schema:mentions
schema:reviewRating
schema:author
schema:datePublished
schema:inLanguage
  • Bangla
schema:itemReviewed
Faceted Search & Find service v1.16.115 as of Oct 09 2023


Alternative Linked Data Documents: ODE     Content Formats:   [cxml] [csv]     RDF   [text] [turtle] [ld+json] [rdf+json] [rdf+xml]     ODATA   [atom+xml] [odata+json]     Microdata   [microdata+json] [html]    About   
This material is Open Knowledge   W3C Semantic Web Technology [RDF Data] Valid XHTML + RDFa
OpenLink Virtuoso version 07.20.3238 as of Jul 16 2024, on Linux (x86_64-pc-linux-musl), Single-Server Edition (126 GB total memory, 3 GB memory in use)
Data on this page belongs to its respective rights holders.
Virtuoso Faceted Browser Copyright © 2009-2025 OpenLink Software