সম্প্রতি, জার্মান প্রবাসী বাংলাদেশি সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার খাদিজাতুল কোবরা সোনিয়ার ‘আপনারা সবাই IELTS করে জার্মানি চলে আসুন’ শিরোনামের একটি ছবি ‘জার্মানির এক প্রকৌশলী গত কয়েক বছর ধরে ভবন নির্মাণের উপকরণ হিসেবে গাঁজা গাছ ব্যবহার করে আসছেন’ শীর্ষক ক্যাপশনে সংবাদমাধ্যম ঢাকা ট্রিবিউনের নামে প্রচার করা হয়েছে৷
উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)৷
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, আলোচিত দাবিতে খাদিজাতুল কোবরা সোনিয়ার ছবিটি ঢাকা ট্রিবিউন প্রকাশ করেনি বরং সংবাদমাধ্যমটির ‘জার্মানির এক প্রকৌশলী গত কয়েক বছর ধরে ভবন নির্মাণের উপকরণ হিসেবে গাঁজা গাছ ব্যবহার করে আসছেন’ শীর্ষক শিরোনামের একটি সংবাদে খাদিজাতুল কোবরা সোনিয়ার ছবিটি ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় প্রতিস্থাপন করার মাধ্যমে আলোচিত দাবিটি প্রচার করা হয়েছে৷
বিষয়টি যাচাইয়ে ঢাকা ট্রিবিউনের ফেসবুক পেজে গত ০৫ ডিসেম্বর প্রকাশিত একটি পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত পোস্টের ক্যাপশনের সাথে আলোচিত পোস্টের ক্যাপশনের মিল রয়েছে৷
উক্ত পোস্টটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, ফেসবুক পোস্টে ঢাকা ট্রিবিউন তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি সংবাদের লিংক ‘জার্মানির এক প্রকৌশলী গত কয়েক বছর ধরে ভবন নির্মাণের উপকরণ হিসেবে গাঁজা গাছ ব্যবহার করে আসছেন’ শীর্ষক ক্যাপশনে শেয়ার করে। উক্ত পোস্টের ক্যাপশনটি অপরিবর্তিত রেখে ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সংবাদটির ফিচারের স্থলে খাদিজাতুল কোবরা সোনিয়ার ‘আপনারা সবাই IELTS করে জার্মানি চলে আসুন’ শিরোনামের ছবিটি প্রতিস্থাপন করার মাধ্যমে আলোচিত ছবিটি তৈরি করা হয়েছে৷
খাদিজাতুল কোবরা সোনিয়া আসলেই এমন কোনো মন্তব্য করেছেন কিনা তা নিশ্চিত হতে তার ভেরিফাইড ফেসবুক প্রোফাইল Khadizatul Kobra Sonya ও ফেসবুক পেজ Khadizatul Kobra Sonya যাচাই করে আলোচিত দাবির সপক্ষে কোনো মন্তব্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।
এছাড়া, ঢাকা ট্রিবিউন ব্যতীত অন্য কোনো গণমাধ্যমে কিংবা বিশ্বস্ত সূত্রে খাদিজাতুল কোবরা সোনিয়া প্রসঙ্গে আলোচিত দাবিতে কোনো সংবাদ বা তথ্য পাওয়া যায়নি।
সুতরাং, ঢাকা ট্রিবিউন কর্তৃক প্রকাশিত ভিন্ন একটি সংবাদের ফিচারে ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় খাদিজাতুল কোবরা সোনিয়া ছবি প্রতিস্থাপন করে আলোচিত দাবিতে প্রচার হয়েছে; যা সম্পাদিত।
তথ্যসূত্র
- Dhaka Tribune – Facebook Post
- Rumor Scanner’s Own Analysis