schema:text
| - Authors
Claim: নোয়াখালিতে হিন্দু মেয়েকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে মুসলিম ছেলেরা।
Fact: ভাইরাল ভিডিয়োটির সঙ্গে সাম্প্রদায়িক কোনও যোগ নেই। ওটি নিছক একটি দাম্পত্য-কলহের দৃশ্য।
বাংলাদেশে উত্তেজনার আবহে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো খুব ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, লাল পোশাক পরা অবস্থায় একজন মহিলাকে চ্যাংদোলা করে নিয়ে এসে গাড়িতে তুলে নিয়ে যাচ্ছে কয়েকজন যুবক। সাম্প্রদায়িক দাবি-সহ ভিডিয়োটি অনেকেই ফেসবুকে পোস্ট করেছেন এবং লিখেছেন, “দিনে দুপুরে হিন্দু মেয়েকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে, মুসলিম ছেলেরা, নোয়াখালীর সেনবাগ থানার মইশাই গ্রামের দুলাল পালের মেয়ে। জাগো হিন্দু জাগো, এখনো কি হিন্দুরা জেগে ঘুমোবেন”।
Fact Check/ Verification
ভাইরাল ভিডিয়োতে দাবি করা হয়েছিল যে, নোয়াখালীর সেনবাগ থানার মইশাই গ্রামের দুলাল পালের মেয়েকে মুসলিমরা তুলে নিয়ে গিয়েছে। সেই অনুযায়ী ইন্টারনেটে কি-ওয়ার্ড সার্চ করলে ভিডিয়োটি সংক্রান্ত একাধিক প্রতিবেদন আমাদের নজরে পড়ে।
৯ অগাস্ট প্রথম আলোর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে, সাম্প্রদায়িক দাবি-সহ ভিডিয়োটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো হলেও, সেটা সত্যি নয়। প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, “দাম্পত্য বিরোধের জেরে স্বামীর ঘর থেকে বাবার বাড়িতে চলে এসেছিলেন ওই নারী। তাঁকে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন তাঁর স্বামীসহ কয়েকজন ব্যক্তি। তখন ওই নারীর চিৎকার শুনে গ্রামবাসী এগিয়ে আসেন। তাঁরা মাইক্রোবাসটি ভাঙচুর করেন। এ সময় ওই নারীর স্বামীসহ তিনজনকে তাঁরা আটক করেন।” মেয়েটির বাবাও প্রথম আলোকে জানিয়েছেন যে, দাম্পত্য কলহের জেরেই ঘটনাটি ঘটেছে।
কালবেলার একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে, অভিযুক্ত স্বামীর নাম প্রসেনজিৎ।
ভিডিয়োটি সম্পর্কে আরও একটু সার্চ করলে দেখা যায় যে, ৮ অগাস্ট মাহফুজ আলম নামে এক ব্যক্তি ভিডিয়োটি সংক্রান্ত একটি ফেসবুক লাইভ করেছিলেন। ওই লাইভের ক্যাপশেন লেখা ছিল, “মইশাই কুমার বাড়িতে দিনেদুপুরে হিন্দু মেয়েকে তুলে নেওয়ার সময় তিন অপহরণ কারী ধরা পড়ছে! তারা দুইটা হাইস গাড়ি নিয়ে মোট ১৭ জন আসছে। জনতার দৌড়ানিতে ১৪ জন একটি হাইস নিয়ে পালিয়ে যায়। বাকি ৩ জন ১টি হাইস সহ ধরা পড়ে। বর্তমানে তাদেরকে সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।”
এরপর News Checker- এর মাহফুজ আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি আমাদের জানান, “ঘটনাটি আমাদের গ্রামে ঘটছে। একটি হিন্দু ছেলে, একটি হিন্দু মেয়েকে জোর করে তুলে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। মেয়েটি অভিযুক্তের প্রাক্তন স্ত্রী। বলপূর্বক, অস্ত্র দেখিয়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। পরে স্থানীয় লোকজন ওই ছেলেটিকে এবং তার সঙ্গে থাকা আরও তিন জনকে আটক করেছিল এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছিল।”
Conclusion
সুতরাং এখান থেকেই স্পষ্ট যে, ভাইরাল ভিডিয়োটির সঙ্গে সাম্প্রদায়িক কোনও যোগ নেই। ওটি নিছক একটি দাম্পত্য-কলহের দৃশ্য।
Result: False
|