schema:text
| - সম্প্রতি “বঙ্গবন্ধু গাঁজা সেবন কেন্দ্র। এখানে বঙ্গবন্ধুর সৈনিকরা অত্যন্ত নিরাপদে গাজা সেবন করিতে পারিবেন।” শীর্ষক শিরোনামে একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
ফেসবুকে ভাইরাল এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে। টুইটের আর্কাইভ ভার্সন দেখুন এখানে।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, সাইনবোর্ড সম্বলিত আলোচিত ছবিটি বিকৃত করা বা এডিটেড এবং মূল ছবিটি একটি পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ থেকে সংগ্রহীত। আসল ছবিটি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সংলগ্ন একটি এলাকার, যা বিকৃত করে ভিন্ন দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে।
রিভার্স ইমেজ সার্চ পদ্ধতির মাধ্যমে, দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে ২০১৫ সালের ৯ জানুয়ারিতে “রাতারাতি সাইনবোর্ড, ২০৪ শতকের মালিকানা দাবি” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে মূল ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়।
দৈনিক প্রথম আলোতে প্রকাশিত সেই প্রতিবেদনের ছবিটিকেই বর্তমানে বিকৃত করে অর্থাৎ ছবিতে থাকা সাইনবোর্ডের লেখা পরিবর্তন করে ছবিটি সম্পাদন করা হয়েছে।
মূলত, আসল ছবিতে থাকা সাইনবোর্ডটি ফিজা অ্যান্ড কোং নামের একটি বেকারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক স্থাপন করা হয়েছিলো। মূল ছবিটির সাইনবোর্ডে থাকা লেখার একটি অংশ হলো “ক্রয় সূত্রে এই জমির মালিক জনাব নজরুল ইসলাম বাবুল, ফিজা এন্ড কোং“। দৈনিক প্রথম আলোতে প্রকাশিত উক্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সংলগ্ন বড়গুল নামের টিলাবেষ্টিত জনবসতি এলাকায় হিন্দু-মুসলিম মিলে প্রায় ৩৫টি পরিবারের বসবাসের স্থানের একটি প্লটে রাতারাতি ঘর নির্মাণ করে এই সাইনবোর্ডটি স্থাপন করা হয়েছিলো।
প্রসঙ্গত, রিউমর স্ক্যানার টিম পূর্বেও ‘বঙ্গবন্ধু গাঁজার খামার‘ শীর্ষক একটি সাইনবোর্ড সংযুক্ত ছবিকে ভুয়া শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
উল্লেখ্য, ১৯৮০ সালের শেষের দিক থেকে বাংলাদেশে সব ধরণের গাঁজা চাষ, পরিবহন, বিক্রয়, ক্রয় এবং দখল অবৈধ।
অর্থাৎ, জমির মালিকানা দাবির একটি সাইনবোর্ড সম্বলিত ছবিকে বিকৃত করে ভিন্ন লেখা যুক্ত করে বঙ্গবন্ধু গাঁজা সেবন কেন্দ্র দাবিতে সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
[su_box title=”True or False” box_color=”#f30404″ radius=”0″]
- Claim Review: বঙ্গবন্ধু গাঁজা সেবন কেন্দ্র
- Claimed By: Facebook & Twitter Posts
- Fact Check: False
[/su_box]
তথ্যসূত্র
- Prothom Alo: https://www.prothomalo.com/bangladesh/crime/%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%A8%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A1-%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%AA-%E0%A6%B6%E0%A6%A4%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BE-%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BF
- Narcotics Control Act,1990 (Bangladesh): https://web.archive.org/web/20201031050839/https://www.unodc.org/res/cld/document/the-narcotic-control-act-1990_html/The_Narcotic_Drugs_and_Psychotropic_Substances_Control_Act_1990.pdf
|