schema:text
| - Fact Check: বাংলাদেশে হাতির প্রতি নির্মমতার কোনো সাম্প্রদায়িক দিক ছিল না, ভুয়ো দাবি ভাইরাল
বিশ্বাস নিউজ এই দাবির তদন্ত করেছে যে এই ঘটনাটি বাংলাদেশের কুমিল্লাতে ঘটেছিল, যেখানে হাতিটিকে দোকান ভাঙচুর করার জন্য পিটিয়ে ছিল। বন বিভাগ হাতিটিকে উদ্ধার করে এবং মাহুকে গ্রেপ্তার করে। এই ঘটনায় কোনো সাম্প্রদায়িক দিক ছিল না।
By: Pallavi Mishra
-
Published: ফেব্রু. 13, 2025 at 04:51 অপরাহ্ন
-
নতুন দিল্লি (বিশ্বাস নিউজ)। সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা গেছে কিছু মানুষ একটি হাতিকে লাঠি দিয়ে মারধর করছে। পোস্টে দাবি করা হচ্ছে যে এটি বাংলাদেশের ঘটনা, যেখানে কিছু মুসলিম যুবক একটি হাতিকে মারধর করছে, কারণ সেটি একটি মন্দিরের সঙ্গে যুক্ত ছিল।
বিশ্বাস নিউজ এই দাবির তদন্ত করেছে যে এই ঘটনাটি বাংলাদেশের কুমিল্লাতে ঘটেছিল, যেখানে হাতিটিকে দোকান ভাঙচুর করার জন্য পিটিয়ে ছিল। বন বিভাগ হাতিটিকে উদ্ধার করে এবং মাহুকে গ্রেপ্তার করে। এই ঘটনায় কোনো সাম্প্রদায়িক দিক ছিল না।
ভাইরাল পোস্টে কী আছে?
ইন্সটাগ্রাম ইউজার ‘Sanjeev Dubey‘ (Archive) ভাইরাল ভিডিওটি 3 ফেব্রুয়ারি 2025 এ শেয়ার করে লেখেন, “বাংলাদেশে নির্দিষ্ট ধর্মের জনতা একটি হাতিকে শিকল দিয়ে বেঁধে নির্মমভাবে মারধর করছে কারণ সেই হাতিটি একটি হিন্দু মন্দিরের ছিল। ভাবুন এদের মনে কত বিষ এবং ঘৃণা ভরে আছে। আর পেটা এবং সারা বিশ্ব নীরব।”
তদন্ত
ভাইরাল পোস্টের তদন্ত করার জন্য আমরা গুগল রিভার্স ইমেজ সার্চ ব্যবহার করেছি। আমরা এই ভিডিওটির স্ক্রিনশট বাংলাদেশী নিউজ ওয়েবসাইট ঢাকা ট্রিবিউন এর 28 আগষ্ট 2024 এ পাব্লিশ হওয়া একটি খবর থেকে পেয়েছি। খবর অনুযায়ী, বাংলাদেশের কুমিল্লাতে একটি হাতির বাচ্চাকে শিকল দিয়ে বেঁধে দুজন পুরুষ দ্বারা পিটানোর ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়েছে। এখানে বলা হয়েছে যে এই ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পরে পশু অধিকার কর্মীরা হাতিটিকে দেবীদ্বার ও মুরাদনগরের মধ্যবর্তী এক গ্রামে খুঁজে বের করেন।
ঢাকা ট্রিবিউন এরই 31 আগষ্টের খবরে এই ঘটনা সম্পর্কে আরো তথ্য দেওয়া হয়ে যে বাংলাদেশের কুমিল্লাতে দাউদকান্দিতে শিকার হওয়া 17 বছর বয়সী হাতি “নিহারকোলী” কে বন বিভাগ সফলভাবে উদ্ধার করেছে। এই উদ্ধার অভিযান ঢাকা সাফারি পার্কের বন আধিকারিক এবং বিভিন্ন পশু অধিকার সংগঠনের সহযোগে নারায়ণগঞ্জের কাঞ্চন ক্ষেত্রকে চালানো হয়। মাহুত মোনিরুল ইসলাম, যে এই নির্মমতার জন্য দায়ী, তাকে গ্রেপার করা হয়েছে। ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পরে, পরিবেশ মন্ত্রালয়ের উপদেষ্টা তৎক্ষণাৎ হাতিটিকে উদ্ধার করার নির্দেশ দেন। উদ্ধার কার্যে রাকিবুল হক অমিল এবং প্সহু অধিকার কার্যকর্তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
আমরা বাংলাদেশী নিউজ ওয়েবসাইট রাইজিংবিডি তেও 31 আগষ্ট 2024 এ প্রকাশিত খবর পেয়েছি। সেই অনুসারে, তিনজন মাহুত এই হাতিটিকে নিয়ে দোকানে যেতেন এবং টাকা চাইতেন। 24 আগষ্টে দাউদকান্দিতে হাতিটি হঠাৎ ক্ষীপ্ত হয়ে ওঠে এবং বেশ কয়েকটি দোকানে ভাঙচুর করে। এটি দেখে তিনজন মাহুত হাতিটিকে নিয়ন্ত্রণ করতে নির্মম ভাবে মারধর করে। সেখানে উপস্থিত কোনো ব্যক্তি এই ঘটনার ভিডিও রেকর্ডিং করেন এবং ফেসবুকে আপলোড করে দেন, যা পরে ভাইরাল হয়ে যায়। একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, এই ঘটনায় মাহুত মোনিরুম ইসলাম সহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়, এবং হাতিটিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজীব সাফারি পার্কে পাঠানো হয়।
এই বিষয়ে বাংলাদেশী ফ্যাক্ট চেকার তৌসিফ আকবর বলেন যে হাতিটির তিনজন মাহুত (মালিক) দোকানে গিয়ে মানুষদের থেকে টাকা আদায় করতেন। টাকা আদায়ের সময় হাতিটি হঠাৎ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। 24 আগষ্টে হাতিটি দাউদকান্দি এলাকায় কয়েকটি দোকানে উৎপাত করে। পরবর্তীতে হাতিটিকে নিয়ন্ত্রণ করতে মাহুত (হাতির মালিক) তাকে মারতে শুরু করে। ঘটনায় কোনো সাম্প্রদায়িক দিক ছিল না।
এই ভিডিওটিকে ভুল দাবি সহ শেয়ার করা ফেসবুক ইউজার Sanjeev Dubey এর 6000 এর অধিক ফলোয়ার্স আছে।
উপসংহার: সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি ভিডিও ভাইরাল হচ্ছে, যেখানে দাবি করা হয়েছে যে বাংলাদেশের মুসলিম যুবকেরা একটি হাতিকে মন্দিরের সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণে পিটিয়েছে। বিশ্বাস নিউজ এই দাবির উপর তদন্ত করে এবং পায় যে ভিডিওটির এই ঘটনার সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই। এই ঘটনাটি বাংলাদেশের কুমিল্লাতে হয়েছিল, যেখানে হাতিটিকে দোকানে ভাঙচুর করার কারণে মারধর করা হয়েছিল। বন বিভাগ হাতিটিকে উদ্ধার করে এবং মাহুকে গ্রেপ্তার করে। এই ভাইরাল ভিডিওতে সাম্প্রদায়িক দিক ছিল না।
Claim Review : এই ঘটনা বাংলাদেশের, যেখানে কিছু মুসলিম যুবক একটি হাতিকে পিটিয়ে ছিল, কারণ সেটি একটি মন্দিরের সঙ্গে যুক্ত ছিল।
-
Claimed By : Instagram User Sanjeev Dubey
-
Fact Check : False
-
Know the truth! If you have any doubts about any information or a rumor, do let us know!
Knowing the truth is your right. If you feel any information is doubtful and it can impact the society or nation, send it to us by any of the sources mentioned below.
|