schema:text
| - Last Updated on October 28, 2024 by Team THIP
সারমর্ম
এক ওয়েবসাইটে দাবি করা হয়েছে উপবাস বা উপোস করলে সব ধরণের রোগ সেরে যায়। সেখানে বলা হয়েছে যে কোন অসুস্থতায় উপবাস হল একটি জোরালো চিকিৎসা পদ্ধতি। আমরা এর ফ্যাক্ট চেক করে দেখে জেনেছি এই দাবি অনেকাংশে ভুল।
দাবি
রোগ নিরাময়ের জন্য ইন্টারনেটে অনেক নিবন্ধ এবং পোস্ট রয়েছে। প্রতিটি পোস্টের মধ্যে আমরা একটি পোস্ট পেয়েছি যা দাবি করে যে উপবাস বা উপোস করলে সব ধরণের রোগ সেরে যায়। তেমনি একটি পোস্ট এখানে দেখা যাবে।
সত্যানুন্ধান
উপবাস নিয়ে আয়ুর্বেদে কী বলা হয়েছে?
আয়ুর্বেদ, হচ্ছে ভারতের প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতি, সেখানে উপবাসকে অনেক সমস্যার সমাধানে সাহায্যকারী হিসেবে মনে করলেও তা সব রোগের উপশম করে বলে উল্লেখ করা হয়নি। আয়ুর্বেদের লেখায় উপবাসকে শরীরের শুদ্ধিকরণ, হজম সাহায্যকারী ও বিভিন্ন দোষের(শরীরের শক্তি) মধ্যে ভারসাম্য বহনকারি বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রত্যেকের শরীরের প্রকৃতি (দোষঃ বাত, পিত্ত ও কফ) অনুযায়ী বিভিন্ন রকমের উপবাসের ধরণের পরামর্শ আয়ুর্বেদে দেওয়া হয়েছে। যেমনঃ যাদের কফ দোষ আছে তাদের নিয়মিত উপবাস করলে বেশি উপকার হতে পারে, আবার যাদের পিত্ত দোষ রয়েছে তাদের পাচনতন্ত্র বা ডাইজেস্টিভ সিস্টেম জোরালো হওয়ার জন্য একটানা অনেকক্ষণ উপবাস না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আয়ুর্বেদে জোর দেওয়া হয় যে উপবাসকে ব্যক্তিগত প্রয়োজন অনুসারে নির্দিষ্ট করা উচিত এবং রোগের জন্য একটি স্বতন্ত্র নিরাময় হিসাবে মনে না করে একটি সামগ্রিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায় হিসেবে মনে করা উচিত।
চলতি ঋতুর পরিবর্তনের সময়ে কী আমাদের উপোস করা উচিত?
আয়ুর্বেদে পরামর্শ দেওয়া হয় যে ঋতু পরিবর্তনের সময়ে দেহের ভারসাম্য বজায় রাখতে ও মরশুমি অসুস্থতা রোধে আপনার ডায়েট ও লাইফস্টাইলের সামঞ্জস্য রাখা দরকার। কিছু গবেষণায় উপবাসের মাধ্যমে আয়ু বাড়তে পারে এমন কথা বলা হয়। উপোস বা এই সময়ে হালকা খাওয়া ঋতু পরিবর্তনের সময়ে শরীরকে তার জন্য প্রস্তুত করতে সাহায্য করে। কিন্তু তা সত্ত্বেও, আয়ুর্বেদে উপবাসের মাধ্যমেই একমাত্র রোগ নিরাময় সম্ভব এমন কথা বলা হয়নি। বরং, এই অভ্যাসগুলো স্বাস্থ্য সর্বোচ্চ পর্যায়ে ভালো রাখা এবং ভারসাম্যহীনতা প্রতিরোধ করে তা না হলে অসুস্থতার কারণ হতে পারে।
উপবাস কী ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়া রোধ করতে পারে, যেমনটা ভিডিওতে বলা হয়েছে?
না, ঠিক তা নয়। এমন কোন বৈজ্ঞানিক প্রমাণ পাওয়া যায় নি যা থেকে দাবি করা যায় যে উপোসের মাধ্যমে ডেঙ্গু বা ম্যালেরিয়ার মত রোগ যেগুলি মশা বাহিত ভাইরাস ও প্যারাসাইটের থেকে হয় তা প্রতিরোধ করা যায়। মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধের জন্য মশা নিয়ন্ত্রণ, পোকামাকড় নিরোধক ব্যবহার, মশারির মধ্যে ঘুমানো এবং মশা জন্মানোর জায়গাগুলি নির্মূল করার মতো ব্যবস্থা প্রয়োজন। এসব সংক্রমণ রোধে উপোসের কোনো ভূমিকা নেই। এধরণের দাবি বিভ্রান্তিকর ও বিপজ্জনক হতে পারে। বৈজ্ঞানিক গবেষণা থেকে প্রমাণিত প্রতিরোধের উপায়গুলো থেকে এ ধরণের দাবি মানুষের মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারে না।
উপবাস কী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়?
না, ঠিক তা নয়। অটোফ্যাজি নামে পরিচিত একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ইনফ্ল্যামেশন কমানো এবং সেলুলার মেরামত প্রক্রিয়া জোরদার করার মতো প্রতিরোধ ব্যবস্থার সম্ভাব্য সুবিধার জন্য সবিরাম উপবাস বা ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং নিয়ে গবেষণা করা হয়েছে। যদিও ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং কারোর কারোর ক্ষেত্রে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় উপকারে এসেছে তাও, এই সিদ্ধান্তে আসা যায় না যে এই ব্যবস্থার মাধ্যমে সমস্ত রোগ সারিয়ে ফেলা সম্ভব। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার কার্যকারিতা বিভিন্ন বিষয় যেমন জেনেটিক্স, সামগ্রিক স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও পরিবেশগত কারণগুলির উপর নির্ভর করে। যদিও সামগ্রিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এবং সুস্থ করে তুলতে পারে, তবে এটি রোগ প্রতিরোধ বা চিকিৎসার জন্য একমাত্র পদ্ধতি হওয়া উচিত নয়।
দীর্ঘদিনের বা ক্রনিক রোগ কী উপবাসে সেরে যায়?
না, এতে দীর্ঘদিনের রোগ ‘সারতে’ নাও পারে। গবেষণায় ধারণা পাওয়া গেছে ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং শরীরে ইনসুলিন সেনসিটিভিটি বা সংবেদনশীলতা বাড়িয়ে ও ওজন কমাতে সাহায্য করে মেটাবলিজম বা বিপাক ভালো করতে সাহায্য করতে পারে। এটি বিশেষভাবে টাইপ টু ডায়বেটিস ও স্থূলতা বা ওবেসিটির মত অবস্থা নিয়ন্ত্রণে বিশেষভাবে উপকারী, কিন্তু এটি ক্রনিক রোগ সেরে যাওয়ার উপায় নয়। এটিকে সামগ্রিক চিকিৎসা, যার মধ্যে রয়েছে মেডিকেল সুপারভিশন, সঠিক ওষুধপত্র, সঠিক খাবার খাওয়া ও লাইফস্টাইলের পরিবর্তন, তার একটি অংশ করে নেওয়া উচিত।
ক্রনিক রোগের কার্যকরী ভাবে চিকিৎসা করতে গেলে বিভিন্ন কারণগুলি খতিয়ে দেখা দরকার। যদিও ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং থেকে স্বাস্থ্য বিষয়ক কিছু উপকারিতা পাওয়া যায়, তবুও আপনাকে এটি মেনে চলতে হলে স্বাস্থ্যসেবা পেশাদারদের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে সতর্কতার সঙ্গে তা মানতে হবে।
বিশেষজ্ঞরা কী বলেন?
অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ আয়ুর্বেদের এমডি স্কলার, ডাঃ অনুসুইয়া গোহিল তার বিশেষজ্ঞ মতামতে বলেছেন, “আয়ুর্বেদ অনুসারে একটি ধারণা আছে যাকে বলা হয় লঙ্ঘন, এটি শরীরের ভেতরের টক্সিন দূর করে, শরীরকে মজবুত করে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। তবে, লঙ্ঘনকে পুরোপুরি উপবাস বলা চলে না। এর মানে হল শরীরকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য যতটুকু প্রয়োজনীয় ততটুকু খাবার খেয়ে শরীরকে হালকা রাখা, কোনভাবেই অযথা খাবার দিয়ে ভর্তি করা বা বেশি খেয়ে ফেলা নয়। লঙ্ঘনকে অনেকসময়ই উপবাস বলা হয় কিন্তু তা পুরোপুরি উপবাস নয়। মানুষকে শরীর ঠিক রাখতে সঠিক পরিমাণ খাবার খেতে হবে। অনেক রোগ সারাতে লঙ্ঘন একটি শক্তিশালী চিকিৎসা পদ্ধতি, কিন্তু এটি উপবাসের আধুনিক সংজ্ঞার সাথে পুরোপুরি খাপ খায় না।“
নিউ দিল্লির হোলি মিশন ক্লিনিকের, একজন জেনারেল ফিজিশিয়ান ডাঃ উবেয়দ উর রহমান বলেছেন, ”এটা পরিষ্কার করা জরুরি যে উপবাস এবং উপবাসের মত কিছু খাবার খাওয়া থেকে স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে কিছু উপকারিতা পাওয়া যেতে পারে, তবে সেগুলি সমস্ত রোগের জন্য নিরাময় পদ্ধতি নয়। আপনাকে সতর্কতার সাথে ডায়েটের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। সবাইকে স্বাস্থ্যের বৃহত্তর দিকটির দিকে নজর দেওয়া উচিত, তার মধ্যে রয়েছে সুষম পুষ্টি, নিয়মিত ব্যায়াম ও প্রয়োজন হলে চিকিৎসকের পরামর্শ।“
উপবাস করা কী সবার জন্য উচিত?
উপবাস করা সবার জন্য নয় এবং এর জন্য বিশেষভাবে ভাবনা চিন্তার প্রয়োজন। এবং যাদের ডায়বেটিস, ইটিং ডিসর্ডার বা প্রেগনেন্সির মত শারীরিক অবস্থা রয়েছে তাদের জন্য বিশেষ ভাবে নজর দেওয়া জরুরি। যাদের এরকম অবস্থা রয়েছে বা যাদের ওষুধ চলছে যার জন্য তাদের ব্লাড সুগারের তারতম্য হচ্ছে তাদের ক্ষেত্রে উপোস শুরু করার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং নিয়ে ব্যক্তিগত প্রতিক্রিয়া আলাদা আলাদা হয়, এবং এটি কতটা ভাল কাজ করে তা ঠিক করার জন্য আমাদের আরও দীর্ঘসময় ধরে গবেষণার প্রয়োজন। তা সত্ত্বেও যে সমস্ত প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে সেখানে দেখা যাচ্ছে ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং ওবেসিটি বা স্থূলতা কমাতে খুব ভালো একটি উপায়। এটি থেকে বোঝা যায় ডায়েটের বিষয়ে আরও গবেষণা ও উন্নতি কাজে লাগছে।
যারা উপোসের কথা ভাবছেন তাদেরকে কিছু সম্ভাব্য স্বাস্থ্যসমস্যার দিকটা মাথায় রাখতে হবে, যেমন ডিহাইড্রেশন, ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য নষ্ট এবং মেটাবলিজমের ওপর প্রভাব। একটা কথা মাথায় রাখতে হবে যে উপবাস কখনোই অপরিহার্য চিকিৎসার বিকল্প হতে পারে না। সবসময় আপনার স্বাস্থ্যকে অগ্রাধিকার দিন এবং আপনার ডায়েট বা স্বাস্থ্যের রুটিনে কোনো উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন করার আগে পেশাদারদের সাথে পরামর্শ করুন।
উপবাস কী ক্যানসারের চিকিৎসায় সাহায্য করতে পারে?
উপোস ক্যানসারের চিকিৎসায় কার্যকারিতা বাড়াতে ক্যানসার কোষগুলোকে দুর্বল করে এবং সুস্থ কোষগুলোকে রক্ষা করে সাইডএফেক্ট কমানোর সম্ভাবনা তৈরি করে। তবে, এই উপকারিতা নিয়ে এখনো গবেষণা চলছে এবং ক্যানসারের চিকিৎসায় উপবাসই একমাত্র চিকিৎসা পদ্ধতি হওয়া উচিত নয়। সামগ্রিক চিকিৎসা ব্যবস্থার অঙ্গ হিসেবে উপবাসকে যোগ করার আগে অনকোলজিষ্টের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। যদিও কিছু প্রমাণ থেকে বলা হচ্ছে উপোস ক্যানসারের কোষের বৃদ্ধিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে ও চিকিৎসায় আরো ভালো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে, তাও ক্যানসারের জীববিদ্যায় আমাদের এ নিয়ে বিচারবুদ্ধি এখনো সীমিত।
সময়ের ভিত্তিতে উপোস বা উপোসের মত ডায়েট (এফএমডি) ক্যানসার চিকিৎসার কার্যকারিতা বাড়ায় এবং ক্যানসার প্রতিরোধী ইমিউন সিস্টেমকে উজ্জীবিত করে মাউস মডেলগুলিতে শক্তিশালী ক্যানসার বিরোধী প্রভাব দেখায়। এফএমডি সাইকেলগুলো আগের ডায়েট সিস্টেমের থেকে অনেক কার্যকরী কারণ সেখানে নিয়মিত খাবার খাওয়ার নিয়ম রয়েছে এবং খুব বেশি মাত্রায় ওজন কমানো যা থেকে ইমিউন ও এন্ডোক্রাইন সিস্টেমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে তা রোধ করে। তবে, একটিমাত্র চিকিৎসা পদ্ধতি হিসেবে উপবাস বা এফএমডি টিউমারের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষেত্রে ক্যানসারের ওষুধের সম্মিলিত চিকিৎসা পদ্ধতি যা ইঁদুরের ক্যানসার মুক্ত হয়ে বেঁচে যাওয়ার জন্য দায়ী তার কার্যকারিতা থেকে কম। তাই, প্রিক্লিনিকাল মডেল (প্রাথমিক গবেষণা) দ্বারা নির্ধারিত স্ট্যান্ডার্ড ক্যানসার চিকিৎসার সাথে পর্যায়ক্রমে এফএমডি সাইকেলগুলিকে একত্রিত করা রোগীদের ক্যানসার-মুক্ত হয়ে বেঁচে থাকার সর্বোচ্চ সম্ভাবনা তৈরি করে।
উপবাসের উপকারিতা কী কী?
ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং (আইএফ) স্বাস্থ্য ভালো রাখতে নানারকম ভাবে কাজ করে, এর মধ্যে রয়েছে খুব কড়া ক্যালোরির হিসেব না রেখে ওজন কমাতে সাহায্য করে। এ থেকে ইনসুলিন রেজিস্টান্স কমে যেতে পারে, ফলে ব্লাড সুগারের মাত্রা ঠিক রাখতে ও টাইপ টু ডায়বেটিসের সম্ভাব্য ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। আইএফ ইনফ্ল্যামেশনের মার্কার যা থেকে দীর্ঘদিনের রোগের যোগ থাকে তা কমাতে পারে, তা দেখা গেছে। তাছাড়াও, প্রাণীকে নিয়ে করা গবেষণাগুলি থেকে ধারণা পাওয়া যায় যে উপবাস স্নায়ু কোষের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এমন একটি হরমোন বিডিএনএফ-এর তৈরির মাত্রা বাড়িয়ে মস্তিষ্ককে ভালো রাখতে পারে। এটা মনে রাখা জরুরি যে সাম্প্রতিক কালে করা বেশির ভাগ গবেষণার পরিমাণ অল্প বা অল্প সময়ের জন্য করা হয়েছে, এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তা প্রানীদের ওপর। উপবাসের দীর্ঘসময় ধরে প্রভাব এবং উপকারিতাগুলি পুরোপুরি বোঝার জন্য মানুষকে নিয়ে আরও উঁচু মানের গবেষণা প্রয়োজন।
উপসংহার
যদিও স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে উপবাসের কিছু সম্ভাব্য উপকারিতা রয়েছে, কিন্তু উপবাসের মাধ্যমে রোগ সেরে যেতে পারে এমন চূড়ান্ত প্রমাণ পাওয়া যায়নি। উপবাসের মাধ্যমে ইমিউনিটি বাড়ে ও ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়ার বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেয় একথা বিভ্রান্তিকর। উপবাস স্বাস্থ্যকর লাইফস্টাইলে কাজে আসতে পারে যদি কেউ এ বিষয়ে দায়িত্ববান হয়। আপনি একে একটি রুটিনের মধ্যে নিয়ে আসতে পারেন যেখানে রয়েছে সুষম পুষ্টি ও নিয়মিত ব্যায়াম, এবং সেইসঙ্গে দরকার প্রয়োজনীয় চিকিৎসকের তত্ত্বাবধান। যে কোন উপবাসের পদ্ধতি মেনে চলার আগে আপনার ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া জরুরি, বিশেষকরে যদি কারো কোন সমস্যা থেকে থাকে। উপবাস একটি পরিপূরক ব্যবস্থা হতে পারে, এটা প্রচলিত ডাক্তারী চিকিৎসার পরিবর্তিত ব্যবস্থা নয়। আমরা আপনাকে সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রচারিত ভিডিওগুলোকে নির্বিচারে বিশ্বাস না করার পরামর্শ দেব, কারণ সেগুলো ক্ষতিকারক হতে পারে, কারণ তা সবসময় কোন স্বাস্থ্যসেবার সঙ্গে যুক্ত পেশাদারের কাছ থেকে পাওয়া যায় না।
|